ক্ষুধা না নাড়ির টান
মল্লিকা চ্যাটার্জী রায়
একটা অসহায় চিত্র।
ক্ষুধার্ত ভিখারিণী মা
হার জিরজিরে চেহারা
কোলে একটা,আর একটা পেটে
ডিংডিঙে পেট,বাকিটা কঙ্কালসার।
ঘুরে ঘুরে দু-একটা করে টাকা পরছিলো হাতে।
পাশেই গাছের কাঁঠাল পারা চলছিলো,
আবার হাত পাতলো,মালিক দেখলোনা
ব্যস্ততা প্রচুর,খদ্দেররা গুনে টাকা দেবে।
বার বার ঘ্যানঘ্যানে চাওয়াতে পেল একটা বড় কাঁঠাল।
মা-ছেলের রসালো দৃষ্টি,চোখ জুলজুল।
কিন্ত নেবে কি করে?হাত তো দুটো!
এককোলে ছেলে,আর এককোলে দুর্বলতা।
কাঁঠাল দেখে খিদেও বাড়লো
বাড়লো অস্থিরতা,বাড়লো অসহায়তা।
সবাই দেখছে, পেরিয়ে যাচ্ছে,যানবাহন ও চলে যাচ্ছে।
কাকে কোথায় নেবে,হাঁটতে হবে অনেকটা।
সবাই চলে যাচ্ছে বাস্তবের রাস্তা।
আমরা বড়জোর একটা সেলফি নিতে পারি
কিন্ত নিরণ্নকে সাহায্য,জাস্ট পোষায় না।
আরে পাবলিসিটি ছাড়া আমাদের আবার চলেনা।
একজন ভগবান টাইপের লোক,গাড়ির ভিতর থেকে দেখলেন।
দিলেন কিছু টাকা আর খাবার।
উফফ!কি আনন্দ মায়ের,যাক গতি হলো তার।
ঠোঁট বাঁকালো সেলফি তোলা লোকগুলো।
অতিবুদ্ধিমানরা সেলফি তোলা,
বিবেকবানরা সমাজে নির্বোধ তকমা পায়।
চলুক বাস্তব,চলুক জীবন,বেঁচে থাকুক কিছু নির্বোধেরা।
পরদিন ফেসবুকে সেলফিটা না হয়
দেখুক সেই নির্বোধ মানুষটা।
--সমাপ্ত--
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts, please let me know.