আমার মেয়েবেলা
রিম্পা ষড়ংগী
গরীব ঘরে জন্ম বলে
দাওনা যে তাই নজর
নীচুতলার মেয়ের আবার
কেউ কি দেবে কদর।।
বাপ মায়ের ও চোক্ষের বিষ
মেয়েই যখন বটে
পোড়া কপাল সবাই যে কয়
আধ পেটা ভাত জোটে।।
যত্ন আমার করার ত কেউ
নেই যে দুনিয়ায়
পশুর মতো বাঁচিই যখন
আপন ঠিকানায়।।
দোষ কি আমার,জন্ম হল
গরীব বাবার ঘরে
তুচ্ছ মেয়ে,সবার কাছেই
যাইনি যখন মরে।।
মেয়ের জীবন,দুখের জীবন
শুধুই অবহেলা
খেলার পুতুল কে দেবে আর
ধন্য মেয়েবেলা।।
ছোট্ট বেলা,আমার কাটে
স্যাঁতসেঁতে এক ঘরে
বস্তি বাসী মানুষ মোরা
জীবন টা কাল ধরে।।
মা যে আমার বাবুর ঘরে
দিন ও রাতি খাটে
আমি ঘুরি রাস্তা ঘাটে
গলি পথে,মাঠে।।
আমিও ত বাচ্চা মেয়েই
শখ যে পুতুল খেলা
ফ্যালনা আমি,নিতান্ত এক
যাচ্ছে না ত গেলা।।
হতাম যদি ধনীর মেয়ে
পালটে যেত জগত
খেলার পুতুল, বন্ধু, সাথী
এবং আলোর ভবিষ্যৎ।।
পেতাম কতই ভালোবাসা
হতাম সবার চোখের মণি
রূপের ছটা নাই বা থাকুক
বলত লোকে চাঁদবদনী।।
জন্ম দিনের হত পার্টি
চতুর্দিকে আলো
হরেক রকম আড্ডাবাজি
চাইত সবাই ভালো।।
আমি ত এক নীচ ও অধম
নিঃস্ব বাপের মেয়ে
ভাগ্য বিধির ভাগ্যখেলা,
দেখছি চেয়ে চেয়ে
হতেই পারি বড়লোকের
মেয়ের কাজের দাসী
ধমক,বকা,দয়ায় কাটাই
খাই যে খাবার বাসী।।
নতুন পোশাক,গয়না নতুন
বৃথাই অভিমান
আমার তরে ভাববে না কেউ,
দেবেনা সম্মান।।
গরীব ঘরের কন্যা আমি
এটাই যখন কারণ
আমার মত শিশুর আবার
স্বপ্ন দেখা বারণ।।
অনাদরের আনাচ ঘিরে
আমার বেড়ে ওঠা
মূল্যহীনের মাপকাঠিতে
জোটেই শুধু খোঁটা।।
...সমাপ্ত...
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts, please let me know.