আমার ভারত ব্যুরো: আজকাল অনেক সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে পুরুষদের তুলনায় মহিলা ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চেন স্মোকার যে কেবল ছেলেরাই হতে পারেন, এই ধারনার আমূল বদল এসেছে। হালফিলে দেখা যায় বহু মহিলাই চেন স্মোকার। ধূমপান যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এ কথা টেলিভিশন থেকে শুরু করে বড়পর্দায় সিনেমা শুরুর আগে, কিংবা সিগারেটের প্যাকেটেও লেখা থাকে। তবে সিগারেট খাওয়া যে ত্বকের জন্যও বেশ ক্ষতিকর সে কথা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। সিগারেটে থাকা তামাক অর্থাৎ নিকোটিনের প্রভাবে ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়াও নানা কারণে ট্যান পড়ে ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে।
তাই কালচে ঠোঁটের হাত থেকে নিস্তার পেতে মেনে চলুন হাফডজন ঘরোয়া উপায়।
১। লেবু এবং চিনি- পাতি লেবুর সঙ্গে অল্প চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের উপর পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। এক্ষেত্রে চিনি মূলত স্ক্রাবারের কাজ করে। ঠোঁটের উপর দের্ঘদিন ধরে জমে থাকা ডেড সেল বা মরা কোষগুলো এর সাহায্যে সরে যায়। আর পাতি লেবুর কাজ হল ঠোঁটকে উজ্জ্বল করে তোলা।
২। লেবু এবং মধু- ঠোঁটে স্ক্রাব করার জন্য চিনির পরিবর্তে লেবুর রসের সঙ্গে অল্প মধুও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে ঠোঁটে একটা আলাদা জেল্লা আসে। বিশেষ করে শীতকালে ধূমপায়ীদের জন্য এটা ভীষণ প্রয়োজনীয় ঘরোয়া টোটকা। যার ফলে ঠোঁট ময়শ্চারাইজড থাকে। ফলে শুষ্ক এবং রুক্ষ ভাব কমে এবং ঠোঁট কম ফাটে।
৩। চিনি এবং মধু- ঠোঁটে কাচলচে ছোপ পড়ে গেলে সেটা তোলার চটজলদি উপায় হল চিনি এবং মধুর প্রলেপ লাগানো। এক্ষেত্রেও স্ক্রাবারের কাজ করে চিনি। আর ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মধু হল দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে দু-এক ফোঁটা অলিভ অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন। আমন্ড অয়েলও ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার জন্য খুবই কাজের জিনিস।
৪। গ্লিসারিন- ঠোঁট ফাটা এবং কালচে ভাব দূর করতে গ্লিসারিনের খুবই প্রয়োজনীয়। প্রয়োজনে গ্লিসারিনের সঙ্গে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে ঠোঁট অনেক বেশী উজ্জ্বল হবে।
৫। যেকোনও রকম ট্যান বা কালচে দাগ-ছোপ তুলতে কাঁচা দুধ বা দুগ্ধজাত যেকোনও প্রোডাক্ট খুবই উপকারী। তাই কালচে ঠোঁটের উপর দুধ বা দই লাগালে সহজেই উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া সম্ভব।
৬। একফালি টমেটোর রস ঠোঁটে মাখলে সহজেই ফিরে পাওয়া যাবে জেল্লা। পাশাপাশি নরম থাকবে ঠোঁটের চামড়া। সম্ভব হলে দিনে দু’বার ঠোঁটে টোমেটোর রস লাগান।
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts, please let me know.