আমার ভারত ব্যুরো: সভ্যতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে
যাচ্ছিল পশুপাখিদের জীবন। এখন হঠাত যেন পুরোনো পৃথিবী ফিরে এসেছে। বায়ু, নদী, আকাশ যেন পেয়েছে নতুন ছন্দ। সেই ছন্দের তালে তালে শিল্পাঞ্চচলে ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতীয় পাখি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।
ভীড় নেই, কোলাহল হীন, দূষণমুক্ত সারা দেশের কোথাও হরিণ, কোথাও ময়ূর, খরগোশ, শিয়াল ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।
ব্যারাকপুরের লাটবাগানে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের সদর দপ্তর।প্রচুর গাছপালায় ঘেরা গঙ্গার ধারের এই জায়গাতেই আছে সেনা ছাউনি। এখানে এমনিতে বুনো খরগোশ, প্রচুর পাখি, বাঁদর, বড়ো বড়ো সাপ দেখা গেলেও ময়ূরের দেখা মিলত না।
কিন্তু সেই ময়ূরেরই দেখা মিলল একেবারে জনবহুল আর্দালি বাজারে, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাঁচিলে, কখনও কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা লাটবাগানের দিকে। দেখা যাচ্ছে আর্দালি বাজারের রাস্তা, বিদ্যুৎ অফিসের ছাদেও। কখনও কখনও আবার ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা এবং কখনও ভবন কম্পাউণ্ডের মধ্যেই দেখা মিলছে। শুধু রাস্তায় নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়ানোই নয়, উড়ে গিয়ে গাছের ডালে, কোনও বিল্ডিংয়ের ছাদে কিংবা পাঁচিলে গিয়েও বসছে ময়ূর। কলেজের ক্লাসরুমে বেঞ্চে একসঙ্গে দু’টি ময়ূরকেও দেখা গিয়েছে।
একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে ব্যারাকপুর লাটবাগান পুলিশ লাইনে কয়েকটি ময়ূর ছিল। এক পুলিশকর্মী চারটি বাচ্চা ময়ূর এনেছিলেন। তার মধ্যে দু’টিকে কুকুর মেরে ফেলে। বাকি দু’টি এতদিন কোথায় ছিল কেউ জানে না। সেই দু’টিই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে যেখান থেকেই আসুক না কেন তারাও আগের পৃথিবী ফিরে পেয়ে আনন্দে দিন কাটাচ্ছে আর সাধারণ মানুষ সেই দৃশ্য উপভোগ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts, please let me know.